ধনুষ্টংকার কেন হয়? প্রতিরোধ প্রতিকার

ধনুষ্টংকার (টিটেনাস) রোগ থেকে রক্ষ পাওয়ার জন্য টিটি টিকা নিতে হয়। আমাদের দেশে অনেক মহিলা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্তান জন্ম দেন।

ধনুষ্টংকার কেন হয়?

ফলে মা ও শিশুর ধনুষ্টংকার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বাচ্চার নাড়ি কাটার সময় জীবাণুমুক্ত ব্লেড ও সুতা ব্যবহার না করলে ধনুষ্টংকারের জীবাণু শরীরে ঢুকে যায় এবং রোগে নবজাত শিশু মারা যায়।

এসব কারণে সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সী  মহিলার ধনুষ্টংকারের  টিকা নেয়া দরকার।

৫ বার টিটি টিকা নিতে হয়। এ টিকা যে-কোন সময়ে নেয়া যায়। তবে সরকারী কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ বছর বয়স থেকে টিকা দেয়া শুরু করতে হয় এবং নীচের সময়সূচি অনুযায়ী সারাজীবনে ৫ বার টিটি টিকা দিতে হয়।

পুরা ডোজ শেষ করতে মোট ২ বছর ৭ মাস সময় লাগে। কখন টিটি দিতে হবেঃ

  1.  টিটি ১ম ডোজ ১৫ বছর পূর্ণ হবার পর অথবা গর্ভবতী হলে ৪র্থ মাস থেকে।
  2.  টিটি ২য় ডোস টিটি ১ম ডোস দেয়ার ৪ সপ্তাহ পর
  3.  টিটি ৩য় ডোস টিটি ২য় ডোস দেয়ার ৬ মাস পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।
  4. টিটি ৪র্থ ডোস টিটি ৩য় ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।
  5. টিটি ৫ম ডোজ টিটি ৪র্থ ডোস দেয়ার ১ বছর পর অথবা পরবর্তী গর্ভবতী অবস্থায়।

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের টিটি ধনুষ্টংকারের টিকা নেয়া কেন জরুরি?

টিটেনাস (ধনুষ্টংকার) থেকে বাঁচতে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের টিটি টিকা নিতে হয়। শিশুকে ধনুষ্টংকার থেকে বাঁচাতে মূলত এই টিকা দেয়া হয়। যদি আগে কোনো টিকা নেয়া না হয়, তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সবগুলোই দিতে হবে।

তবে টিটেনাসের ৫টি টিকার ডোজ সম্পন্ন করা থাকলে আর গর্ভাবস্থায় এই টিকা নেয়ার প্রয়োজন নেই। আর কেউ যদি কোনো টিকা না নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ৫ মাসের পর ১ মাসের ব্যবধানে পর পর দুটি টিটি টিকা নিতে হবে।

আর যদি পূর্বে দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকে তাহলে প্রতি গর্ভাবস্থায় মাত্র একটি বুষ্টার ডোজ নিতে হবে।

ধনুষ্টংকারের  টিকা কেন নেবেন?

এই টিকা মা ও শিশু উভয়েরই ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। প্রসবকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতায় অসতর্কতা, অপরিষ্কার, ছুরি, ব্লেড বা কাঁচি ব্যবহার করলে (নবজাতকের নাভী কাটার সময়) অথবা নাভীর গোড়ায় নোংরা কিছু লাগিয়ে দিলে নবজাতকের ধনুষ্টংকার রোগ হয়।

তাই এসব প্রতিরোধে মায়েদের সময়মত টিটেনাস টিকা নেয়া অবশ্যই জরুরি।

Related posts