Blog

হামাস এর পরিচয় । হামাসের সামরিক শক্তি

হামাস এর পরিচয় হামাস শব্দের অর্থ কি

হামাস শব্দটির আরবি শব্দ। এর  অর্থ আশা, বা উদ্দীপনা। এটি মূলত حركة المقاومة الاسلامية হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া, “ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন” এর একটি আদ্যক্ষর। ইজ্জদ্দীন আল কাসাম নামে হামাসের একটি সামরিক শাখাও রয়েছে ।

হামাস এর পরিচয়

People also search for
ফিলিস্তিনের সামরিক শক্তি
ইসরায়েলের সামরিক শক্তি
ফিলিস্তিন সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা

হামাস এর আত্মপ্রকাশ

হামাস এর আত্মপ্রকাশ হয় ১৯৮৭ সালে। গাজা এবং পশ্চিম তীরে ইসলামি এই প্রতিরোধ আন্দোলন এর আত্মপ্রকাশ্য  ঘটে ১৯৮৭ সালে।

হামাস এর প্রতিষ্ঠিতা কে? শেখ আহমেদ ইয়াসিন কে ?

হামাস এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন শেখ আহমেদ ইয়াসিন, ১৯৭৮ সালে ৪৯ বছর বয়সী শেখ আহমেদ ইয়াসিন ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য আল মুজাম্মা আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি সংগঠন গড়ে তুলতে অধিকৃত ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন৷ ইসরায়েল তা মন্জুর করে, অনুমতিদেওয়ার কারণ হলো  গাজায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পিএলও এর গুরুত্ব কমানো। কিন্তু ইজরাইলের সেই প্রচেষ্টা ধ্বংস  হয়ে যায় । খুব সহজেই  ইজরায়েল  বুঝতে পারে শেখ আহমেদ ইয়াসিন   খাঁটি  মুসলমান। ইজরাইলের শত বাঁধা নিষেধের পরেও  ঠিকই হামাসকে প্রতিষ্ঠা  করিয়ে ফেলেছে।

Related searches
হামাস ও ফাতাহ
হামাস PDF
হামাস বই PDF
আল ফাতাহ কি
হামাস কোন দেশের গেরিলা সংগঠন
ইয়াসির আরাফাত
ফিলিস্তিন জনসংখ্যা
গাজা উপত্যকা

হামাস চার্টার কখন গৃহীত হয়?

১৯৮৮ সালে “হামাস চার্টার” গৃহীত হয়।  “হামাস চার্টার” এর লক্ষ্য ছিলো দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো।

একনজরে গাজাঃ

গাজা  ভূখণ্ডটি ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। এর আয়তন হলো  ৩২০ কিলোমিটার। গাজার ৩২০ কিলোমিটার  এলাকায় রয়েছে ৪টি শহর, ৮টি ফিলিস্তিনী শরনার্থী শিবির এবং  ১১টি গ্রাম।

গাজার এই সামান্য   আয়তনের   এলাকায়  প্রায় ১৮ লক্ষ জনগণ বসবাসকরে থাকে।   গাজার মিশরের সাথে ১১ কিঃমিঃ সীমানা রয়েছে,   ইসরায়েলের সাথে ৫২ কিঃমিঃ সীমানা এবং গাজার  সামনে  ভূমধ্যসাগর অবস্হিত রয়েছ। গাজা ভূখণ্ডটি  ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত মিশরের দখলে ছিল।

হামাস এর সংগঠন

হামাস এর রাজনৈতিক , সমাজকল্যাণমূলক  এবং সামরিক নামে তিনটি শাখা রয়েছে।  হামাসের নীতিনির্ধারণী পরিষদ হলো পনেরো সদস্যের পলিটিক্যাল ব্যুড় ।  হামাসের বর্তমান প্রধান  হলেন খালেদ মিশাল এবং  গাজা অঞ্চলে প্রধাণমন্ত্রী দায়িত্বে   আছেন ডঃ ইসমাইল হানিয়া।

হামাস এর সামরিক শক্তি

হামাসের সামরিক শাখাকে  ইজ্জদ্দিন আল ক্কাসাম ব্রিগেড যাকে সংক্ষেপে আল ক্কাসাম ব্রিগেড বলা হয়। হামাসের সামরিক শাখা  ইজ্জদ্দিন আল ক্কাসাম ব্রিগেড  ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তখন থেকেই ইসরায়েলকে সামরিকভাবে  করে রেখেছে তারা। সীমিত সাধ্যের মধ্যেও লিমিটেড টেকনোলজী আর অর্থায়নে ক্কাসাম রকেট দিয়েই ইসরায়েলি বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের আয়রন ডোম অ্যান্টিমিসাইল সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইসরায়েলের প্যাট্রিয়ট মিসাইল এবং এফ-১৬ এর মোকাবেলায় ক্কাসাম ব্রিগেডের ব্যবহার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্বল্প মাত্রার আল বানা, আল বাতার এবং আল ইয়াসিন রকেট, এছাড়াও ট্যাংক বিধ্বংসী গোলাসহ কিছু হালকা যুদ্ধাস্ত্র। সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরের তলদেশ দিয়ে ইসরায়েলে পৌছে এক দুঃসাহসিক কমান্ডো অভিযানের চেষ্টা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ইরানের পর মুসলিম দেশ হিসেবে সাফল্যজনকভাবে ড্রোন তৈরি করতেও সক্ষম হয়েছে হামাস, যা তেলাবিবের আকাশ পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে। তবে হামাস যোদ্ধারা গ্রাউন্ড কমব্যাটে যথেষ্ট প্রশিক্ষিত। প্রবাসী হামাস নেতা খালিদ মিশালকে হত্যার একাধিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং সিনবেথ, তবে হামাসের অপারেটিভদের সাহস এবং দৃঢ়তায় তারা সফল হতে পারে নি।

সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য 

হামাসের সামাজিক কর্মকাণ্ড

ইসরায়েলি  গবেষণায়ই উঠে এসেছে, হামাসের কার্যক্রমের ৯০% হলো সামাজিক, শিক্ষা বিস্তার, সংস্কৃতি ও জনকল্যাণমূলক কাজ, এবং  সামাজিক কাজগুলো হলো   দাতব্য চিকিৎসা, মসজিদ স্থাপন, স্কুল ও শিশুশিক্ষা অর্থায়ন, খেলাধূলার।

হামাস এর সামাজিক কাজ

হামাস সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় । ইসরায়েলী  হামলায় কোন ঘর বিদ্ধস্ত হলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরকারী সেবাদানকারীরা  চলে আসেন তাদের সাহায্য করার জন্য । এছাড়া ইসরাইলী আগ্রাসনে শহীদ হওয়া ফিলিস্তিনীদের পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য এককালীন ও নিয়মিত ৫০০ থেকে ৫০০০ ডলার পর্যন্ত অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে হামাস।  এছাড়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি ঘর, স্কুল বা মসজিদ পুনঃনির্মাণে সহায়তা দিয়ে থাকে হামাস। যদিও হামাস একটি ইসলামী আন্দোলনের কাজ করে, কিন্তু জোরপূর্বক কাউকে ইসলাম মানতে বাধ্য করে না । ‘ফাদিলা’ নামে কিছু নাগরিক কমিটি আছে, যারা বিভিন্নভাবে জনসাধারণকে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে অনুরোধ করে।

গাজার শিক্ষা অবদানে হামাস

অবরোধ এবং যোদ্ধ অবস্থার মাঝেও  গাজা উপত্যকায় শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে রেখেছে হামাস। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী গাজা উপত্যকায় শিক্ষার হার প্রায় ৯৯%। গাজায় মোট  পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া ৬৮৩ টি স্কুল রয়েছে।

গাজায় স্বাস্থ্যসেবায় হামাস

বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলী আগ্রাসনে আহত মানুষজনের চিকিৎসা প্রয়োজন তো রয়েছেই। হামাস পরিচালিত হাসপাতালে কম খরচে বা বিনা খরচে সুচিকিৎসা দেয়া হয়। হামাসের এই সামাজিক কার্যক্রমের জনপ্রয়তা শুধু গাজা স্ট্রিপেই নয়, বরং ফাতাহ শাসিত পশ্চিম তীর এমনকি আশেপাশের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতেও অনেক বেশি জনপ্রিয়।

People also ask
Why does Hamas attack Israel?
What does Hamas control?
Does Israel fund Hamas?
Who is the current leader of Hamas?

হামস এর মিডিয়া

২০০৬ সাল থেকে হামাস চালু করেছে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘আল আকসা টিভি’। হামাসের মিডিয়া গুরু ফাতহি হাম্মাদের মিডিয়া হাউজ ‘আর-রিবাত কমিউনিকেশন্স’ এর নেতৃত্বে আরও রয়েছে নিজস্ব রেডিও স্টেশন ‘ভয়েস অফ আল আকসা’ এবং সংবাদ পত্রিকা ‘দ্য মেসেজ’। অনলাইন জগতে টুইটার এবং ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে রয়েছে হামাসের সরব উপস্থিতি। এছাড়া লন্ডন থেকে আল ফাতিহ নামে শিশু-কিশোরদের জন্যেও একটি পাক্ষিক পত্রিকা নিয়মিত বের করা হয়।

Related searches
হামাস কারা
হামাসের সামরিক শক্তি
হামাস শব্দের অর্থ কি
ফাতাহ কি
ফিলিস্তিন
হিজবুল্লাহ হামাস
হামাসের শক্তি

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button