Blog

বউকে কিভাবে বশ করা যায়? ৪১ কার্যকরী টিপস

বউকে কিভাবে বশ করা যায়?  বউকে বলল করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো আপার বউএর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন। আজকের এই পোস্টে আমরা দেখাবো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বউকে বলল করার বেশ কিছু টিপস ।

বউকে বশ করার করার সহায়ক টিপ
১। স্বামীকে প্রাণ খুলে ভালোবাসা।
২। স্বামীর প্রতি যথাযথ ভক্তি-শ্রদ্ধা রাখা।
৩।স্বামীর আদেশ-নিষেধের প্রতি যত্নবান
হওয়া।
৪। স্বামীর সাথে সুমিষ্ট ভাষায় কথা বলা।
৫। স্বামীকে নিজের মনের কথা খুলে বলা।
৬। স্বামীর সব ধরনের আমানত রক্ষা করা।
৭। স্বামীর সুখে সুখী আর স্বামীর দুঃখে
দুঃখী হওয়া।
৮। নিজ সাজগোজ ও পরিচ্ছন্নতার দ্বারা স্বামীর
মন জয় করা।
৯। স্বামীকে সান্তনা দেওয়া।
১০। সংসার চালানোর ক্ষেত্রে স্বামীকে
সহযোগিতা করা।
১১। স্বামীকে সুপরামর্শ দেওয়া।
১২। স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া।
১৩। স্বামীর সম্পদের হেফাজত করা।
১৪। স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোন কাজ না করা।
১৫। স্বামীর কল্যাণের জন্য আল্লাহর কাছে
দোয়া করা।
১৬। স্বামীর কোন বদ অভ্যাস থাকলে
হেকমতের সাথে তা দূর করা।
১৭। স্বামীর কাছে কোন কিছু লুকিয়ে না রাখা।
১৮। স্বামীকে নিজ অভিভাবক মনে করা।
১৯। স্বামীর গুণাবলীর প্রশংসা করা।
২০। স্বামী কোন কাজে বের হলে হাসিমুখে
বিদায় দেওয়া।
২১। স্বামী বাহির থেকে ঘরে আসলে
হাসিমুখে সালাম দিয়ে কথা শুরু করা।
২২। স্বামীর জন্য সময়মত খানাপিনা ও বিশ্রামের
ব্যবস্থা করা।
২৩।স্বামীর জন্য নিজ হাতে নাস্তা তৈরি করা।
২৪। প্রাণ খুলে স্বামীর সেবা করা।
২৫। স্বামীর সামর্থ্য হবেনা এমন কোন
জিনিসের জন্য স্বামীকে আবদার না করা।
২৬। স্বামীর কোন কিছুকে ঘৃনা না করা।
২৭। স্বামীর সাথে জেদাজেদি না করা।
২৮।স্বামীর কোন কথা খারাপ লাগলে সেটা নিয়ে
তর্ক না করা।
২৯৷ স্বামীকে অহেতুক সন্দেহ না করা।
৩০। স্বামী যদি খারাপ পথে চলে তাহলে কৌশলে
ভাল পথে আনার চেষ্টা করা।
৩১। স্বামীর সাথে কোন অন্যায় করে
ফেললে সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।
৩২। স্বামী নিজ সাধ্যমত যা খাওয়াতে বা পড়াতে
পারে তার উপর সন্তুষ্ট থাকা।
৩৩। স্বামীকে দ্বীনি পরিবেশে রাখার চেষ্টা
করা।
৩৪। স্বামী বিরক্তবোধ করে এমন কোন কাজ
না করা।
৩৫। স্বামী কাজ থেকে ফিরতে দেরি হলে
খোঁজখবর নেওয়া।
৩৬। স্বামীর জরুরী জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা।
৩৭। স্বামী কোথাও বের হওয়ার সময় সাথে যা
নিবে তা ঠিক করে রাখা।
৩৮। স্বামীর কাপড়-ছোপড় পরিস্কার আছে কিনা,
কখন কোন কাপড় পরিধান করবে সেটা আগ
থেকেই প্রস্তুত রাখা।
৩৯। কারো কাছে ভুলেও স্বামীর দূর্নাম বা
অভিযোগ না করা।
৪০। কোন কারণে স্বামী রাগ করলে সে সময়
পাল্টা কোন কথা না বলা

 

 যারা স্ত্রীকে সামান্যতেই তালাক দেবে বলে, তাদের ব্যাপারে কী ফতোয়া?

সংগত কারণবশত একজন ব্যক্তি অবশ্যই তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। ইসলাম তালাককে কখনোই উৎসাহিত করে না বরং প্রয়োজনের খাতিরে ইসলামের বৈধতা দিয়েছে। কাজী একজন ব্যক্তি তালাকের কথা আর তখনই বলবেন যখন তাদের ঘর সংসার করা আদৌ সম্ভব হবে না।

কিন্তু তালাকের দেওয়ার নিয়ম ছাড়াই শুধু শুধু তালাক দেবো তালাক দেবো এই ধরনের কথাগুলো পারিবারিক জীবনকে আরো বেশি জটিল করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, আস্থা ইত্যাদি কমে যায় যার ফলে পরিবারে আরো বেশি অশান্তির সৃষ্টি করে। তবে সে ব্যক্তির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো শাস্তি বা বিধানের কথা কোরআন ও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়নি।

কাজেই প্রয়োজন ছাড়া শুধু শুধু অবান্তর ভাবে এই ধরনের কথাগুলো বলা একেবারেই উচিত নয়। এগুলো সমস্যার সমাধান তো করেই না বরং সামাধান আরো সুদূর পরাহত করে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে।

যেভাবে আপনার বউকে সহজেই বংশ করতে পারেন

স্বামীর কাছে স্ত্রীর কিছু হক বা অধিকার আছে, যেগুলি আদায় করা স্বামীর জন্য অবশ্য কর্তব্য। এই অধিকারগুলি যথাযথভাবে প্রদান করলে স্বামীর প্রতি স্ত্রী যেমন অনুগত হয় তেমনি তার প্রতি স্ত্রীর ভালবাসা-মহববত অটুট থাকে। নিম্নে স্ত্রীর কিছু হক বা অধিকার উল্লেখ করা হ’ল।-

আশ্রয় দান :

স্ত্রীকে আশ্রয় দান করা স্বামীর জন্য আবশ্যক। যেখানে স্ত্রী থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে ও নিরাপদ ভাবে সেখানে তার আবাসনের ব্যবস্থা করা স্বামীর জন্য করণীয়। তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেখানে তোমরা বসবাস কর সেখানে তাদেরকেও বাস করতে দিয়ো। তাদেরকে সঙ্কটে ফেলার জন্য কষ্ট দিয়ো না ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইদ্দত পালনকালে স্ত্রীকে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া যাবে না।

ভরণ-পোষণ

স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বামীর। সচ্ছল ব্যক্তি তার সচ্ছলতা অনুসারে ব্যয় করবে। আর যার রিযক সীমিত করা হয়েছে, সে ব্যয় করবে আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাত্থেকে।

আল্লাহ যাকে যতটা দিয়েছেন তার অতিরিক্ত বোঝা তার উপর চাপান না। আল্লাহ কষ্টের পর সহজ করে দিবেন।

স্বামী সাধ্যমত স্ত্রীকে পোষাক-পরিচ্ছদ দান করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সমাজে এমন অনেক দায়িত্বহীন মানুষ আছে, যারা নিজ স্ত্রী ও সন্তানকে ভাল ও মানসম্মত পোষাক কিনে দেয় না। অথচ নিজে মূল্যবান পোষাক পরিধান করে।

স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা :

স্বামীর উপরে স্ত্রীর অন্যতম অধিকার হ’ল তার নিরাপত্তার সুব্যবস্থা করা, যাতে তার জান-মাল, ইয্যত-আব্রু, মান-সম্ভ্রম বজায় থাকে এবং সে ঐ পরিবেশে নিজেকে নিরাপদ মনে করে।

তাহলে সহজে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কের উন্নতি হবে।

স্ত্রীকে সন্দেহ না করা :

স্ত্রীকে অযথা সন্দেহ করা স্বামীর উচিত নয়। কারণ স্ত্রীকে সন্দেহ করলে দাম্পত্য জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর সুখী-সুন্দর দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ের বিশ্বস্ততা, আমানতদারিতা, সততা-সত্যবাদিতা, আন্তরিকতা, অনাবিল প্রেম, অকৃত্রিম ভালবাসা, নম্রতা, সুস্মিত ব্যবহার ও বাক্যালাপ, একে অপরের উপকার স্বীকার করা ইত্যাদি গুণ উভয়ের মধ্যে থাকা প্রয়োজন।

আর সন্দেহ এসব কিছুকে ধবংস করে ফেলে। কারণ সন্দেহ এমন জিনিস যার সূক্ষ্মতম শিকড় একবার মনের গভীরে প্রোথিত হয়ে গেলে যতক্ষণ না তাকে উপড়ে ফেলা হয়, ততক্ষণ সে প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করতে থাকে।

এই সন্দেহ-সংশয়ের ফলে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। সংসার পরিণত হয় এক প্রকার জাহান্নামে। এরূপ সংসার স্থায়ী হয় না।

বউকে কিভাবে আদর করতে হবে

বউএর প্রতি যত্নশীল হোন , তার চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখুন তাহলে সহজেই বউকে মন জয় করে  বশ করতে পারবেন ।

বউকে কিভাবে খুশি করা যায়

উপরের টিপস গুলো সাধ্যমতো মেনে চলার চেষ্টা করুন। ইনশাআল্লাহ , আপনার সুখী সংসার হবে ও বউ বলে থাকবে।

কি করে আমি বউকে কন্ট্রোল করব

বউকে কন্ট্রোল করার উপরের টিপস গুলো ফলো করে দেখুন ।

স্ত্রীকে বশ করার তাবিজ

স্ত্রীকে বশ করার কোনো তাবিজ কবজ নাই, এগুলো অনেক কবিরাজের প্রতারনা ও ভাঁওতাবাজি । এইসব বাদ দিয়ে উপরের টিপস গুলো ফলো করুন।

স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান করুন, স্ত্রী আপনার বশীভূত হয়ে যাবে।  বউয়ের প্রশংসা করুন , এটা স্ত্রীকে বাধ্য করার উপায় গুলোর সহজ একটা উপায়।

স্ত্রীকে বশে আনার দোয়া

নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লার কাছে দোয়া করুন একটা সুখী সংসারের । অন্য ধর্মের ক্ষেত্রেও আপনাদের নিজস্ব ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চললে সহজেই বউকে বশ করতে পারবেন ।

বউকে বশ করার দোয়া

আল্লার কাছে সুখী সংসারের জন্য দোয়া করুন, বউ বলে হয়ে যাবে। সাথে সব ধরনের বাঝে অভ্যাস যেমন ধূমপান, জোয়া খেলা পরিহার ও সংসারের উন্নতির জন্য টাকা ইনকাম  করলে সহজেই বউকে বশ করতে পারবেন।

Back to top button