অনলাইন ইন্ডিয়ান ভিসা আপডেট এপ্লিকেশন বিস্তারিত

ভারতীয় ভিসা সেন্টার
ভারতীয় ভিসা সেন্টার |
---|
ঢাকা (গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা) |
চট্রগ্রাম |
সিলেট |
রাজশাহী |
খুলনা |
ময়মনসিংহ |
বরিশাল |
রংপুর |
(রাজশাহী, সিলেট, খুলনা আর চট্রগ্রাম বিভাগের মানুষদেরকে তাদের বিভাগীয় ভিসা সেন্টারে আবেদন করতে হবে।)
ভারতীয় ভিসা এখন দুইভাবে করা যায়
- ইটোকেন সহ
- ইটোকেন ছাড়া।
যারা ইটোকেন ছাড়া করবেন তারা যেদিন ভারত যেতে চান সেদিনের কনফার্ম বাস, ট্রেন বা বিমানের টিকেট সহ নীচের কাগজপত্রগুলো নিয়ে আবেদন করবেন ।
ই-টোকেন ছাড়া আবেদনপত্র শ্যামলীতে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে গিয়ে সরাসরি জমা দিবেন । জমা দেবার সাতদিন পর ভিসা পাবেন ।
ইন্ডিয়ান ভিসা ফরম
আর যারা ই-টোকেন সহ জমা দিবেন তাদের বাস, ট্রেন বা বিমানের টিকেটের প্রয়োজন নেই। ই-টোকেনের ডেট যেদিন সেদিন নিচের কাগজগুলো নিয়ে সরাসরি ভিসা সেন্টারে জমা দিবেন ।
ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে ?
- ভিসার আবেদনপত্র এর প্রিন্ট কপি।
- পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি (মেয়াদ সর্বনিম্ন ছয়মাস থাকতে হবে)।
- ভারতীয় ভিসা সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের দুই কপি ছবি ২”/২” (স্টুডিওতে বললেই ওরা বানিয়ে দিবে)
- জন্মসনদ অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি (আপনি যেটা দিয়ে পাসপোর্ট করিয়েছেন সেটা দিবেন ,না হয় রিজেক্ট হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে)।
- ঠিকানা প্রমাণের জন্য বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক গ্যাস বিল অথবা বিদ্যুৎ বিলের কপি, ছাত্র হলে আইডি কার্ডের ফটোকপি আর চাকুরিজীবি হলে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট সংক্ষেপে NOC , এর কোনটা না হলে যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্যাড সংগ্রহ করে একটা নো অবজেকশন লেটার বানিয়ে নিবেন । তবে এক্ষেত্রে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আপনি পাসপোর্টে যদি স্টুডেন্ট দেন তাহলে আইডি কার্ড আর যদি প্রাইভেট সার্ভিস দেন তাহলে NOC দেওয়া ভালো ,আর ভিজিটিং কার্ড থাকলে সেটাও এ্যাটাচ করে দিয়ে দিবেন এতে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে ।
- ডলার এন্ড্রসমেন্ট করতে হবে ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার ,এন্ড্রসমেন্ট করার পর একটা কাগজ দিবে সেটার ফটোকপি অথবা আপনি আপনার বা আপনার বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে পারেন সেক্ষেত্রে বিগত ছয়মাস ধরে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা একাউন্টে থাকতে হবে । ভালো ব্যাংক ব্যালেন্স সমৃদ্ধ একাউন্ট এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ডলার এন্ড্রসমেন্ট থেকেও বেশি কার্যকর ।
ভারতীয় ভিসা ফী ৬০০ টাকা ।
গুলশান শাখাতে জমা দিতে আগের মতোই ই-টোকেন সহ জমা দিতে হবে।
যদি আপনার যাবার কোন ঠিক ঠিকানা না থাকে তবে সেক্ষেত্রে আপনি ই-টোকেন দিয়ে ভিসা নেওয়াই বেটার
এছাড়া *মেডিকেল ভিসার* ক্ষেত্রে মেডিকেল এর সবগুলো পেপার্স জমা দিতে হবে ।
ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া
মনে রাখবেন শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসা ছাড়া আর কোন ভিসার জন্য ই-টোকেন নিতে হয়না, টুরিস্ট ভিসা ছাড়া অন্য ভিসার ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন পত্র পুরণ করে আবেদনপত্র পুরণ করার চারদিনের মাঝে এটা প্রিন্ট করে সব কাগজ পত্র নিয়ে সরাসরি এম্বেসীতে যাবেন সিরিয়ালে কাগজপত্র জমা দিলেই কাজ শেষ।
যারা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদনটা একটু ঝামেলার আপনাকে অনলাইনে ওদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে কিন্তু বর্তমানে অনলাইনে আবেদন করার পুরো সিস্টেমটা ভারতীয় দুতাবাসের কিছু কর্মকর্তা এবং দালালদের যোগসাজশে এমন দুনীর্তিতে ভরা যে আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠান/মিডিয়ার মাধ্যমেই আবেদন/ই-টোকেন করতে হবে ।
সেক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারতীয় ভিসার ই-টোকেন করানো হয় এক্ষেত্রে ঢাকাতে ১০০০-১২০০ টাকা লাগতে পারে আর বাইরের জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা লাগতে পারে ,কোন প্রতিষ্ঠান/মিডিয়ার মাধ্যমে করলে আপনাকে কোন ঝামেলা করতে হবেনা সবগুলো কাগজ তাদের কাছে দিয়ে দিবেন তারা সব রেডি করে ভারতীয় এম্বেসীতে কবে যেতে হবে তার ই-টোকেন সংগ্রহ করে আপনাকে দিয়ে দিবে।
আবেদনের সময় আপনি কোন *সীমান্ত* দিয়ে প্রবেশ করবেন সেটা উল্লেখ করতে হবে। আপনি যে সীমান্ত উল্লেখ করবেন সেগুলো দিয়ে আপনাকে ভারতে প্রবেশ এবং বাহির হতে হবে অন্য কোন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বা বাহির কোনটাই করতে পারবেন না, তবে কোন কোন সীমান্ত আছে যেগুলো একটা সিলেক্ট করলে আর কোনটা সিলেক্ট করার সুযোগ থাকেনা, সেক্ষেত্রে আপনাকে যেটা দিয়ে যাবেন সেটা দিয়েই আসতে হবে।
বিমানে গেলে কোন সীমান্ত সিলেক্ট করা লাগবেনা। যেখানে ইচ্ছা সেখানে সরাসরি বিমানে চলে যেতে পারবেন । অথবা বিমানের সাথে সড়কপথে যাওয়ার জন্য আরেকটা সীমান্ত সিলেক্ট করে রাখতে পারেন ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে ।
ভ্রমণ ভিসাতে যেহেতু ই-টোকেনের একটা ঝামেলা আছে সেক্ষেত্রে ভ্রমণ ভিসা ছাড়া মেডিকেল বা অন্য ভিসার ক্ষেত্রে আপনি নিজেই বা পরিচিত কোন কম্পিউটার/ইন্টারনেটে দক্ষ কাউকে দিয়ে আবেদন করতে পারেন।
এবার আপনার আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপিতে ছবি যুক্ত করে নিজের সিগনেচার দিয়ে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যান, মনে রাখবেন ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ভিড় থাকে তাই সকাল সকাল গেলে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে আসতে পারবেন ।
টুরিস্ট ভিসা সাধারণত ছয়মাস/একবছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হয় এই সময়ের মধ্যে আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার ইন্ডিয়াতে প্রবেশ এবং বাহির হতে পারবেন ।
ঢাকাতে ভিসা ডেলিভারি দিতে সাত/আটদিন সময় লাগে আর ঢাকার বাইরে সাধারণত দুই তিন দিনের মাঝেই দিয়ে দেয় ।
এম্বেসীতে কাগজপত্র জমা দিলে আপনাকে একটা টোকেন দেওয়া হবে, আপনি অথবা যে কেউ ভিসা প্রদানের নির্ধারিত তারিখে এই টোকেনটা নিয়ে গেলেই পাসপোর্ট ভিসা দিয়ে দিবে , অর্থাৎ ভিসা সংগ্রহের সময় আবেদনকারী না গেলেও চলবে।
এছাড়া ভিসা সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ওয়েবসাইটে পাবেন ।
কি কি কারণে আপনি ভিসা রিজেক্ট খেতে পারেন
আপনার কাগজপত্র ঠিক না থাকলে ওরা সরাসরি রিজেক্ট করে দেয় তাই কাগজপত্র আপ টু ডেট চেক করে দিবেন যেন নুন্যতম কোন ভুল না থাকে।
ঢাকাতে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি বলে কাগজপত্রে কোন ভুল পেলে সরাসরি রিজেক্ট করে দেয় অন্য জায়গাগুলোতে ভুল হলে নির্দিষ্ট ফী দেওয়ার মাধ্যমে ঠিক করা যায়। তবে কিছু গুরুতর ভুল যেমন ফর্মে পাসপোর্ট নাম্বার ভুল এনআইডি নাম্বার ভুল এসব ক্ষেত্রে সরাসরি রিজেক্ট করে দেয়। টাকা দিয়েও ভুল সংশোধনের কোন সুযোগ থাকেনা।
আপনি পাসপোর্ট করেছেন জন্মসনদ দিয়ে কিন্তু জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল আইডি কার্ড এক্ষেত্রে রিজেক্ট খেতে কারণ পাসপোর্ট করার সময় জন্মসনদ বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড দেন এর একটা নাম্বার পাসপোর্টে থাকে তারা যখন নাম্বারটাতে মিল পায়না তখন রিজেক্ট করে দেয়। সাবধান।
তবে ভয় পাবেন না আশার বাণী হলো ভিসা খুব একটা রিজেক্ট হয়না, কাগজ পত্র সব ঠিক থাকলে ভিসা দিয়ে দেয়।
দেখে নিন আপনি কোথায় যেতে চাইলে কোন পোর্ট দিয়ে ভিসা করবেন??
১. সিক্কিম/দার্জিলিং/শিলিগুড়ি/ডুয়ার্স/সান্দাকফু/গোচেলা ট্রেক ইত্যাদি যেতে চাইলে:
চ্যাংড়াবান্ধা অথবা ফুলবাড়ি দিতে হবে। ফুলবাড়ি দিলে আপনি খুব সহজেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন। তবে এই পোর্টে সুযোগ সুবিধা কম থাকায় বেশির ভাগ ট্যুরিস্ট চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে প্রবেশ করে। চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে প্রবেশ করলে আপনাকে ২ ঘণ্টার মত জার্নি করে শিলিগুড়ি যেতে হবে।
২. মেঘালয়/নাগাল্যান্ড/অরুণাচল প্রদেশ যেতে চাইলে:
আপনাকে ডাউকি পোর্ট দিয়ে ভিসা করতে হবে। যা আমাদের সিলেটের তামাবিল দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
৩. ত্রিপুরা যেতে চাইলে:
আপনাকে আগরতলা পোর্ট দিয়ে ভিসা করতে হবে।
আগের নিয়মে উপরের যে কোন পোর্ট নিলে এডিশোনাল পোর্ট হিসেবে (বেনাপোল+গেদে+ট্রেন+এয়ার) পাওয়া যায় বিধায় আলাদা করে শুধু বেনাপোল পোর্ট নেওয়া লস।
বিঃদ্রঃ এছাড়া আপনি ভিসা করার পর মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে আরও ২টি পোর্ট সংযুক্ত করতে পারবেন ৭ দিন সময় এর মধ্যে।
ইন্ডিয়ান ভিসা কবে চালু হবে ২০২২
ভিসা অফিস কবে খুলবে ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টার সাপ্তাহিক ছুটি ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ টুরিস্ট ভিসা ভারত থেকে বাংলাদেশ ভিসা Www ivacbd com আপনার ভিসার আবেদন ট্র্যাক করুন ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন লাগে